The Day I will never forget Essay in Bengali Language: In this article, we are providing যে দিনটি আমি ভুলে যেতে চাই রচনা for students. Essay on The Day I will never forget in Bengali. যে দিন ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে দেওয়া হয়েছিল সেই দিন সকলের মধ্যে একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করেছিল। এই দিনটিতে দুঃখ এবং আনন্দ দুটিই একত্রে প্রবাহিত হয়ে এসেছিল। জনগণ খুশীতে ছিল কারণ তারা বৈদেশিক আইনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু একই সাথে তাদের মনে ছিল মাতৃভূমি খণ্ডিত হয়ে যাওয়ার দুঃখ।
The Day I will never forget Essay in Bengali Language: In this article, we are providing যে দিনটি আমি ভুলে যেতে চাই রচনা for students. Essay on The Day I will never forget in Bengali.
The Day I will never forget Essay in Bengali Language for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10
যে দিন ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে দেওয়া হয়েছিল সেই দিন সকলের মধ্যে একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করেছিল। এই দিনটিতে দুঃখ এবং আনন্দ দুটিই একত্রে প্রবাহিত হয়ে এসেছিল। জনগণ খুশীতে ছিল কারণ তারা বৈদেশিক আইনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু একই সাথে তাদের মনে ছিল মাতৃভূমি খণ্ডিত হয়ে যাওয়ার দুঃখ।
Read also : The Memorable day of My Life Essay in Bengali Language
Read also : The Memorable day of My Life Essay in Bengali Language
সেই সময় আমি পশ্চিম পাকিস্থানের শিয়ালকোট জেলায় বাস করতাম। আমার দুটি চোখ প্রচুর দুঃখজনক এবং বেদনাজনক ঘটনার সাক্ষী। যখনই আমার সেগুলি মনে পড়ে আমি আতঙ্কে জড়সড় হয়ে যাই। বিভাজনই ছিল এই বিশাল স্থানান্তরের মূল কারণ। মানুষ এক স্থান ছেড়ে আর একস্থানে চলে যাচ্ছিল। সেই দিনগুলিতে অপহরণ, ছিনতাই, রাহাজানি, খুন, শ্লীলতা হানীর মতন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল, আর সেই সমস্ত কিছুর সাক্ষী আমি।
Read also : Essay on The happiest day of my life in Bengali Language
Read also : Essay on The happiest day of my life in Bengali Language
১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট আমি আমার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি, এবং অনেক কষ্টের পর আমার গ্রাম কালাসওয়ালা থেকে পাসসরে উপনীত হয়েছিলাম। পাসরুর থেকে সীমায় অবস্থিত ডেরাবাবা নানক-এ উপনীত হওয়ার জন্য ট্রেন ধরেছিলাম। শুধুমাত্র কোন রকমে দাঁড়াবার জন্য ট্রেনে জায়গা পেয়েছিলাম। আমরা খুবই ধীর গতিতে কিন্তু বলিষ্ঠভাবে ক্রমাগত যাত্রা করে যাচ্ছিলাম। এই যাত্রাপথেই দেখেছিলাম, একজন মানুষ আর একজনকে তরয়াল দিয়ে খুন করছে। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য আমার মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। এই ভাবেই ধীরে ধীরে আমাদের ট্রেন রাভি নদীর তীরে অবস্থিত একটি স্টেশনে এসে উপস্থিত হয়েছিল। সেই সময় রাত হয়ে গেছিল। এটা ছিল একটা ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত্রি। ইঞ্জিন আর ভার নিতে পাচ্ছে না এই ছুতােয় ইঞ্জিনের ড্রাইভার ট্রেন চালাতে অস্বীকার করে। এটা ছিল আমার কাছে একটা জটিল সময়, কারণ ট্রেন চলছিল না। হঠাৎ করে, ট্রেনটিকে আক্রমণ করা হয়। আমি ট্রেন থেকে নেমে দৌড়ে রাভি নদীর উপর করা ব্রীজে চলে আসি। আমি খুব ক্লান্ত অনুভব করছিলাম, তাই, আমার একটু বিশ্রামের প্রয়ােজন ছিল। সেই সময় এক ঝাক মানুষ চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ছুটছিল। কত পরিবার টুকরাে টুকরাে হয়ে গেছিল।
Read also : Essay on If I were the Minister of Defense in Bengali Language
Read also : Essay on If I were the Minister of Defense in Bengali Language
সেই রাত্রিটা আমি অন্যান্য লােকেদের সাথে (যারা এই ভয়ঙ্কর রাতের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিল) এই ব্রীজের উপরেই কাটিয়ে দিই। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত হঠাৎ করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। নদী প্লাবিত হয়ে যায়। গল গল শব্দ করে জল প্রবাহ সমভূমিতে প্রবেশ করছিল। আর কিছুই চোখে পড়ছিল না। অনেকে ঠান্ডায় প্রাণ ত্যাগ করে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখানে কোন যানবাহন ছিল না। আমার মন ভয়ে সংকুচিত হয়ে গেছিল। যাইহােক, আমি এই হাঁটু ভাের জলের মধ্যে দিয়েই ডেরাখানা নানকের পথে চলতে থাকি। আমার কাছে কিছু জিনিস পত্র ছিল একজন অজ্ঞাত . ব্যক্তি তা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু ভগবানের কৃপায় সে আমাকে মারেনি। আমি খুব ভয় পেয়ে দৌড়াতে শুর করি। তারপর আমি একটি কষ্টকর ভূখণ্ড পার হই ডেরাবাবা নানকে উপস্থিত হওয়ার জন্য, সেখানে আগে থেকেই রিফিউজিরা এসে পড়েছিল। আমি দু দিন ধরে কিছুই খাইনি। আমি খুবই ক্ষুধার্ত বােধ করছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি গন্তব্যে উপনীত হই। সেখানে আমার সাথে আমার প্রতিবেশীদের দেখা হয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে কিছু খেতে দিয়েছিল এবং আমি তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। কিন্তু সেখানেও প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং আবর্জনা ছিল। সেই স্থানে একটা মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল এবং আমিও সেই মহামারীর স্বীকার হই। ঔষধ কেনার জন্য আমার কাছে কোন পয়সা ছিল না। এই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে একমাত্র ভগবানই আমাকে রক্ষা করতে পারে, এই চিন্তা করে ভগবানের নাম স্মরণ করতে লাগলাম।
Read also : Essay on The Aim of My Life in Bengali Language
Read also : Essay on The Aim of My Life in Bengali Language
দেশ বিভাগের সেই ভয়ঙ্কর রূপ আজও আমার স্মৃতিপটে উজ্জ্বল হয়ে আছে। যখনই এই ভয়ঙ্কর মৃত্যু ও অন্যান্য অসামাজিক কাজগুলির কথা আমার মনে উদিত হয়, তখনই আমি নিজের মেরুদণ্ডে একটা শিহরণ অনুভব করি। কিন্তু এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আর এই দুর্ভাগ্যের কথা স্মরণ করব না। আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের এবং নিরানন্দের দিনটিকে ভুলে যেতে চাই।
COMMENTS