The memorable day of my life Essay in Bengali Language: In this article, we are providing আমার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা রচনা for students. Essay on Memorable day of My Life in Bengali. এটা ছিল রবিবারের সকাল, আমি আমার বন্ধু সুধীরের কাছ থেবে একটা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। আমি তখন সবে ইউ.কে. থেকে নিজের দেশে ফিরে এসেছি। তাই সে আমাকে দুপুরে খাওার জন্য আমন্ত্রণ করেছিল আমি খুব সকালেই শয্যাত্যাগ করে, যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে থাকি আমার বােন খুব সকালেই আমাকে এককাপ চা দিয়ে দিয়েছিল। তারপ আমি স্নান সমাপন করে প্রস্তুত হচ্ছিলাম, সেই সময় আমার বােন আমাকে জল খাবারের জন্য অনুরােধ করে কিন্তু আমি তাকে প্রত্যাখান করি, কার আমি খুব শীঘ্র বন্ধুর বাড়ীতে উপনীত হতে আগ্রহী ছিলাম।
The Memorable day of My Life Essay in Bengali Language: In this article, we are providing আমার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা রচনা for students. Essay on Memorable day of My Life in Bengali.
The memorable day of my life Essay in Bengali Language for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10
এটা ছিল রবিবারের সকাল, আমি আমার বন্ধু সুধীরের কাছ থেবে একটা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। আমি তখন সবে ইউ.কে. থেকে নিজের দেশে ফিরে এসেছি। তাই সে আমাকে দুপুরে খাওার জন্য আমন্ত্রণ করেছিল আমি খুব সকালেই শয্যাত্যাগ করে, যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে থাকি আমার বােন খুব সকালেই আমাকে এককাপ চা দিয়ে দিয়েছিল। তারপ আমি স্নান সমাপন করে প্রস্তুত হচ্ছিলাম, সেই সময় আমার বােন আমাকে জল খাবারের জন্য অনুরােধ করে কিন্তু আমি তাকে প্রত্যাখান করি, কার আমি খুব শীঘ্র বন্ধুর বাড়ীতে উপনীত হতে আগ্রহী ছিলাম। সে আমাকে ভালাে প্রাতরাশ খাওয়াবে বলে লােভ দেখালেও বেরিয়ে সােজা বাসস্টপে চলে গেছিলাম। আমি বাসে উঠে পড়ি, কন্ডাক্টর আমার কাছে এলে আমি তাকে বাবর লেনের টিকিট দিতে বলি। কন্ডাক্টর আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল – “এটা উল্টো দিকে যাবে, আপনি পরের স্টপে নেমে অন্য বাস ধরুন।” আমি খানিকটা বিস্মিত হয়েছিলাম, পরের স্টপে নেমে পড়ে বাবর লেনের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম।
Read also : Bengali Essay on "My Best friend", "আমার প্রিয় বন্ধু রচনা"
Read also : Bengali Essay on "My Best friend", "আমার প্রিয় বন্ধু রচনা"
আমি একটা বাস ধরে ১৫, বাবর লেনে পৌছে গেছিলাম। কিন্তু সুধীরদের বাড়ী গিয়ে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম কারণ তাদের বাড়ী তালা বন্ধ ছিল। আমি ঠিক জায়গায় এসেছি কিনা? তা চিন্তা করে হতভম্ব হয়ে গেছিলাম। কিছুক্ষণ বাদে আমার বন্ধুর প্রতিবেশী এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করে – “আপনি এখানে দাঁড়িয়ে কেন ? আপনি কি কারুর সাথে দেখা করতে চান?” আমি বলেছিলাম – “আজ্ঞে হ্যা, ১৫ নম্বর কোয়াটারে বসবাসকারী সুধীরের সাথে দেখা করতে চাই।”। উনি সঙ্গে সঙ্গে বলেন – “কিন্তু তারা তাে গত বুধবার ঘর বদলে আর.কে, পুরমে চলে গেছে।”
Read also : Bengali Essay on "Street Vendor", "Feriwala", "ফেরিওয়ালা রচনা"
Read also : Bengali Essay on "Street Vendor", "Feriwala", "ফেরিওয়ালা রচনা"
আমি তাড়াহুড়াে করে পুনরায় বাস স্টপে ফিরে আসি। সেই সময় আমার খুব খিদেও পেয়ে গেছিল। কিছুক্ষণ বাদে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আমি তখন কি করব তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। বৃষ্টির বেগ প্রবল হলে আমার চিন্তা আরও জটিল হয়ে যায়। আমি বন্ধুর বাড়ীতে পেঁৗছে প্রাতরাশ খাব, এই চিন্তা করে সকালের খাবারও প্রত্যাক্ষান করে দিয়েছিলাম। একই সাথে আমার খিদেও প্রবল হয়ে উঠেছিল। আমি নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য নিজেকেই দায়ী করছিলাম। কিন্তু আমি নিজের খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধুর সাথে দেখা করার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলি।
Read also : Essay on India of My Dreams in Bengali Language
Read also : Essay on India of My Dreams in Bengali Language
সেই সময় আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। আমি আর.কে. পুরমের অনুসন্ধান অফিসে ফোন করি। কর্মরত ব্যক্তিটি আমাকে একটা ঠিকনা দেন এবং আমি সেই অনুসারে আর.কে. পুরমের একটা কোয়াটারে গিয়ে উপস্থিত হই। দরজার বেল টেপার সাথে সাথেই, সুধীরের ছােট ভাই টুপান (অতি ছােট শিশু) দরজা খুলে বেরিয়ে আসে, আর আমাকে দেখে বলে নমস্কার কাকু। ঘরে ঢুকে দেখি সুধীরের বাবা-মা সােফার উপর বসে আছেন। তারা আমাকে বসার জন্য অনুরােধ করে, আর আমি বেশ আরাম করেই বসে পড়ি। আমি যখনই সুধীরের আমন্ত্রণ সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেছিলাম, সেই সময়তে ডলি (সুধীরের ছােট বােন) চা নিয়ে ঘরে ঢােকে। তাকে দেখে একজন সুন্দরী পবিত্র তরুণী বলে মনে হচ্ছিল। (আমার কলেজ জীবন থেকেই আমি তাকে ভালাে বাসতাম এবং তাকে বিয়ে করবার চিন্তা করে অনেক চিঠি লিখেছিলাম)। এই সময়ই সুধীরের মা খুবই ভদ্র ভাবে কথা বলতে শুরু করেছিলেন, “দেখ, এই নিমন্ত্রণের ব্যাপারটা সম্পূর্ণই তােমার সাথে মজা করা হয়েছিল, কারণ আজ এপ্রিল মাসের প্রথম দিন, বােকা বানানাের দিন। কিন্তু তােমার সৌভাগ্য হল, তুমি বিয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছিলে তা পরিবারের সকলেই স্বীকার করে নিয়েছে।” ডলির মায়ের মুখে এই কথা শুনে আমি কেঁপে উঠেছিলাম।
Read also : Essay on My hobby in Bengali Language
Read also : Essay on My hobby in Bengali Language
আমার আনন্দের সীমা ছিল না। ডলির মুখের ছবিও বেশ আকর্ষণীয় ছিল। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, এটা যেন ভালােবাসার নিঃশব্দ প্রতিশ্রুতি। আমি চা-পান করেই তাদের বাড়ী থেকে বেরিয়ে পড়ি, কারণ এই খুশীর খবরটি আমি বাবা মাকে জানানাের জন্য ব্যাকুল ছিলাম। এই দিনটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে মজার এবং খুশীর দিন।
COMMENTS