Essay on My Birthday Essay in Bengali: In this article, we are providing আমি কিভাবে জন্মদিন পালন করি রচনা for Students. Bengali Essay on How i Celebrated My Birthday.
Bengali Essay on "My Birthday", "আমি কিভাবে জন্মদিন পালন করি রচনা" for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10
আমি জন্মেছিলাম স্বাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনে। তাই এই দিনটিতে শুধুমাত্র আমিই না, সারা ভারতবাসীরা ছুটি পালন করে, কারণ আমি ১৫ বছর আগে ২৬শে জানুয়ারির দিন জন্মেছিলাম। আমার মা আমার সঠিক জন্ম সময়টি লিখে রেখেছিলেন এবং একজন শিক্ষিত জ্যোতিষিকে দিয়ে একটা ঠিকুজি করিয়ে ছিলেন। কিন্তু এটা শুধুমাত্র বাবামায়ের কাছেই প্রয়ােজনীয় বস্তু। আমার কাছে, এটা এমন একটা দিন যে দিন আমি নিজের গুরুত্ব বুঝতে পারি। সেদিন আমি নিমন্ত্রণ পত্র বিলি করতে, ড্রয়িংরুম সাজাতে এবং বিভিন্ন রকম খেলার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত থাকি। ঘর সাজানাের জন্য ও সুন্দর হাতের লেখায় নিমন্ত্রণ পত্রগুলিকে লেখার জন্য আমি আমার বােনের সাহায্য নিই। এই অনুষ্ঠানে সে তার বন্ধুদেরও নিমন্ত্রণ করে। আমার বাবা আমার জন্মদিনটিকে অন্যভাবে পালন করেন। গত বছর, তিনি আমাকে নিয়ে একটা অনাথ আশ্রমে গেছিলেন এবং আমার হাত দিয়ে এই অনাথ বাচ্চাদের সেবার জন্য কিছু টাকা দান করেছেন।
আমার বন্ধুরা বিকেলে ৫টার থেকে আসতে শুরু করেছিল। আমি প্রত্যেককে স্বাগত জানাই এবং তাদেরকে সুসজ্জিত ড্রয়িংরুমে আরাম করে বসার স্থান করে দিই। তারা সুন্দর কাগজের মােড়ক করা প্যাকেটে আমার জন্য উপহার নিয়ে আসে। মুম্বাইতে আমার যে কাকা থাকেন তিনি গত বছর আমার জন্য একটি মূল্যবান পেন সেট এবং একজোড়া সুন্দর জিনস্ পাঠিয়েছিলেন। আমি এবছরও তারও কাছ থেকে একটা সুন্দর উপহার পাওয়ার আশা রাখি।
সব বন্ধু আসার পর আমার মা ড্রয়িংরুমে কেক নিয়ে হাজির হন। সেটা মােমবাতি দিয়ে ঘেরা থাকে। আমার বন্ধুরা করতালি সহযােগে "Happy Birthday" গান শুরু করলে আমি ফুঁ দিয়ে মােমবাতিগুলিকে নিভিয়ে দিই এবং কেকটি ছােট ছােট টুকরাে করে কেটে আমার সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ এর কামনায় প্রত্যেককে কেক বিতরণ করি। তার সাথে কিছু স্ন্যাক্সও দেওয়া হয়। আমার বন্ধুদের এগুলি বিতরণ করার জন্য, আমার বােন আমার মাকে সাহায্য করে। ঘরের এক কোনায় উপহার গুলিকে রেখে আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই। প্রতিটি খেলাতেই খুবই মজা হয়। তারা প্রত্যেকেই উচ্চস্বরে চিৎকার করে। সন্ধ্যার অন্ধকারাচ্ছন্নতা এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তিকে সূচিত করে। দূরের থেকে আগত বন্ধুরা বাড়ী যেতে শুরু করে। এরপর আমার বাবা আমাকে শহরের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে, দুঃস্থদের বিদ্যালয়ে বা একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি চান, যেন আমি এই দুঃস্থদের সারাজীবন নিজের ভাই-বােন মনে করে তাদের প্রয়ােজনানুসারে সাহায্য করি।
0 comments: