Essay on School Canteen in Bengali Language : In this article, we are providing আমাদের স্কুলের ক্যান্টিন রচনা প্রবন্ধ for students. School Canteen Essay in Bengali Language.
Bengali Essay on "School Canteen", "আমাদের স্কুলের ক্যান্টিন রচনা প্রবন্ধ" for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10
প্রতিটি স্কুলে যে লম্বা বারান্দা থাকে ক্যান্টিনটি সেখানেই অবস্থিত হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটিস্কুলের একেবারে কোণায় অবস্থিত। ক্যান্টিনের একটা ছােট্ট জানলা থাকে যা দিয়ে খাদ্য এবং পানীয় প্রদান করা হয়। আমাদের প্রধান শিক্ষক ক্যান্টিনে কোয়ালিটি আইসক্রীম থাকার বিষয়টিকে অনুমােদন করেছেন। এখানে আরও দুটি কাউন্টার আছে, যার মধ্যে দিয়ে বই, পড়াশােনার সরঞ্জাম এবং ঠাণ্ডা বা গরম পানীয় প্রদান করা হয়। পড়াশােনার সরঞ্জাম প্রদানকারী কাউন্টারটিতে সাধারণত বাবা-মাদের ভীড় দেখা যায়। ছাত্ররা বাধ্যতাবশত কখন কখন সেখানে যায়। আইসক্রীম প্রদানের স্থানটিই তাদের সর্বাধিক আকর্ষণের স্থান। ছাত্ররা সেই স্থানটি ঘিরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রঙে ও আকারে প্রাপ্ত আইসক্রীম গ্রহণের চেষ্টা করে। তারা আইসক্রীম হাতে পেয়ে সেটিকে খুব দ্রুত খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। দ্বিতীয় প্রিয় স্থানটি হল ঠাণ্ডা ও গরম পানীয় বিতরণের স্থানটি। তারা কোন কোলা বা গরম চা খেয়ে নিজেদের দুপুরের খাবার সম্পূর্ণ করে। তারা খুব ধীরে ধীরে চুমুক দেয় কারণ শেষ পিরিওডগুলির এনার্জি সঞ্চয় করতে চায়। বােতল নিঃশেষিত হতে থাকলে তাদের গতি আরও মন্দ হয়ে যায়। তারা শেষ ফোটাটুকুও নিঃশেষ করতে চায় কারণ এখানেই তার বেতালের সাথে বন্ধুত্বের শেষ হয়ে যায়।
তৃতীয় কাউন্টারে খুব সামান্য ভীড় দেখা যায়, এই স্থান থেকে বিদ্যার্থীগণ কিছু স্ন্যাক্স কেনে। চকলেট এবং টফির প্রচুর চাহিদা থাকে। যে ছাত্ররা বাড়ী থেকে টিফিন আনতে ভুলে যায় তার ব্রেড-পকোড়া, বা কেক জাতীয় খাবার খায়। কিছু শিক্ষকও এই কাউন্টারে আসেন। প্রত্যেকেই ভাড়া থাকে। যে প্রথমে আসবে সে প্রথমে পাবে - এখানে এই নিয়ম লক্ষ্য করা হয়, কিন্তু ছাত্ররা এই নিয়ম পালন করতে চায় না। তারা কাউন্টারের কাছে দাঁড়ানাে ছাত্রের হাতে পয়সা দিয়ে দেয় এবং তাদের খাবার কেনার জন্য অনুরােধ করে। টিফিন পিরিওড শেষ হয়ে গেলে তাদের মন পুনরায় বিষন্নতায় ভরে যায় এবং তারা যে যার মতন ক্লাসে ফিরে আসে। অনেকের মুখে বিরক্তি প্রকাশ পায়। তারা শেষের পিরিওডগুলি করতে পুনরায় প্রস্তুত হয়ে যায়।