Essay on A visit to a Hill Station in Bengali Language: In this article, we are providing পাহাড় ভ্রমণ বাংলা রচনা প্রবন্ধ for students. Essay on A Mountaain Trip in Bengali for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10. গ্রীষ্মের ছুটির মধ্যে আমাদের স্কুল ছেড়ে আমাদের সিমলা ঘুরতে নিয়ে গেছিল, আমাদের দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছিল খেলার শিক্ষকের উপরে। মেলে ট্রেনের সাহায্যে কুড়ি জন ছাত্রের একটা দল কালকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। কালকা থেকে সিমলা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ট্রয় ট্রেনের ব্যবস্থা আছে। এটি সম্পূর্ণ পাহাড়ী অঞ্চল, ট্রেনটি প্রায় আট ঘন্টা ধরে ষাট কিলােমিটার রাস্তা অতিবাহিত করে। আঁকাবাঁকা রাস্তার জন্য ট্রেন খুব ধীর গতিতে অগ্রসর হয়। এতে একটা ছােট ইঞ্জিন ও মাত্র আট থেকে নয়টা কামরা থাকে। যে কেউ এই চলন্ত ট্রেনটিকে ধরে ফেলতে পারবে।
Essay on A visit to a Hill Station in Bengali Language: In this article, we are providing পাহাড় ভ্রমণ বাংলা রচনা প্রবন্ধ for students. Essay on A Mountain Trip in Bengali.
Bengali Essay on "A visit to a Hill Station", "পাহাড় ভ্রমণ বাংলা রচনা" for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10
গ্রীষ্মের ছুটির মধ্যে আমাদের স্কুল ছেড়ে আমাদের সিমলা ঘুরতে নিয়ে গেছিল, আমাদের দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছিল খেলার শিক্ষকের উপরে। মেলে ট্রেনের সাহায্যে কুড়ি জন ছাত্রের একটা দল কালকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। কালকা থেকে সিমলা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ট্রয় ট্রেনের ব্যবস্থা আছে। এটি সম্পূর্ণ পাহাড়ী অঞ্চল, ট্রেনটি প্রায় আট ঘন্টা ধরে ষাট কিলােমিটার রাস্তা অতিবাহিত করে। আঁকাবাঁকা রাস্তার জন্য ট্রেন খুব ধীর গতিতে অগ্রসর হয়। এতে একটা ছােট ইঞ্জিন ও মাত্র আট থেকে নয়টা কামরা থাকে। যে কেউ এই চলন্ত ট্রেনটিকে ধরে ফেলতে পারবে। উদীয়মান সূর্য কিরণে পাহাড়গুলি তাদের স্নান সেরে নিয়েছিল এবং চতুর্দিকে এক মায়াচ্ছন্নতা বিরাজ করছিল। গাছগুলি ছিল দীর্ঘাকৃতির, সেগুলিকে দেখে মনে হচ্ছিল সেগুলি যেন স্বর্গীয় বার্তা এই ধরিত্রীতে নিয়ে আসে। চারিদিক সবুজে সুবজ ছিল। সমতলের গরমের অনুভূতি তখন আমাদের মন থেকে দূরে সরে গেছিল এবং আমরা কিছু উলের পােশাকের প্রয়ােজন অনুভব করছিলাম।
বাস স্টান্ডের অতি নিকটস্থ কার্ট রােডে অবস্থিত গ্রান্ড হােটেলে আমাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এটি ঠাকুর হােটেল নামেও পরিচিত। আমরা জানলা দরজাগুলি খুবই সতর্কভাবে বন্ধ করে রাখতাম কারণ মাঝে মধ্যেই ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকে আমাদের জামা কাপড় এবং বিছানাপত্র ভিজিয়ে দিত। যখন আমরা পাহাড়ের ঢালে বসে থাকতাম, তখন মেঘ আমাদের স্পর্শ করে চলে যেত এবং আমাদের সম্পূর্ণ সিক্ত করে দিত, আর আমরা ঠাণ্ডা অনুভব করতাম।
সিমলা একটি অতিব সুন্দর পাহাড়ী অঞ্চল এবং ব্রিটিশ সরকারের আমলে এটি ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ছিল। বর্তমানে সরকারি আবাসনটি প্রগতিশীল শিক্ষা কেন্দ্রে পরিণমত হয়েছে। বর্তমানে সিমলা হিমাচল প্রদেশের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। এখন এখানে প্রচণ্ড ভীড় হয় এবং কোন ভ্রমণকারীই স্ক্যানডল পয়েন্ট ও পাহাড়ের ঢালের সৌন্দর্য্যকে অনুভব করতে পারে না।
বিজ থেকে ঝাঘু পর্যন্ত পথটি খুবই দুর্গম ছিল। এই পর্বতের উচ্চ ‘শিখরটি লম্বা লম্বা গাছ দ্বারা আবৃত ছিল। কথিত আছে যে হনুমান ওখান থেকেই লক্ষ্মণের জন্য সঞ্জিবনী নিয়ে গেছিল। যেখানে অনেক বাঁদর ছিল এবং তারা ভ্রমণকারীদের দিকে ক্রোধান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। কেউ কেউ তাদেরকে ভােলাবাদাম দিচ্ছিল। মল রােডে স্ক্যাটিং করার বন্দোবস্ত আছে, সেখানে অনেক লােক স্ক্যাটিং-এর আনন্দ নেয়। সিমলায় আরাে অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান আছে, যেগুলি প্রতিটি ভ্রমণকারীকে আকর্ষণ করে। কুফরিতে তুষার আবৃত আর একটি স্কটিং-এর জায়গা ছিল, এই স্থানটি এখান থেকে মাত্র দশ কিলােমিটার দূরে অবস্থিত।
এই দিনগুলি খুব দ্রুত কেটে গেছিল, কখন ফিরে আসার সময় হয়ে গেছিল বুঝতেই পারিনি। হােটেলের ম্যানেজার আমাদের জানিয়ে দিয়েছিল যে আমাদের বুকিং শেষ হয়ে গেছে। আমরা সেখান থেকে কালকায় ফিরে এসেছিলাম, কিন্তু আমাদের সেখানে আরও কিছু দিন থাকার ইচ্ছা ছিল।
COMMENTS