Goldilocks and the Three Bears Story in Bengali Language: In this article, we are providing গোল্ডিলকস এবং তিনটি ভাল্লুক গল্প বাংলা for students. Goldilocks and the Three Bears Story Bangla.
কোন এক সময় সেখানে একটা ভাল্লুকের পরিবার ছিল। সব থেকে বড় আকারের ভাল্লুকটি ছিল বাবা, মধ্য আকৃতির ভাল্লুকটি মা এবং একেবারে ছােট্টটি ছিল তাদের সন্তান। জঙ্গলের ঠিক মধ্যেখানের ডান দিকে ছিল তাদের ছােট্ট ঘর।Goldilocks and the Three Bears Story in Bengali গোল্ডিলকস এবং তিনটি ভাল্লুক গল্প বাংলা
তিনটি ভাল্লুকই তাদের প্রতিটি দিন একেই ভাবে শুরু করত। প্রথমেই তারা সুগন্ধি সাবান এবং ঠাণ্ডা স্বচ্ছ জল দিয়ে নিজেদের থাবা ও মুখ ভালাে করে ধুয়ে নিত। তারপর তারা তাদের বিছানা গুছিয়ে বালিশ গুলিকে ঠিকঠাক করে রাখত। তারপর তারা জামা কাপড় পরে নিচে নেমে আসত এবং সুস্বাদু পুডিং দিয়ে তাদের প্রাতরাশ সম্পন্ন করত।
গ্রীষ্ম হােক বা বর্ষা প্রতিদিনই মা ভাল্লুকটি পুডিং তৈরি করে তার পরিবারের সকলকে ডাকে এবং প্রাতরাশ সম্পন্ন করে। তিনটি বাটিতে পুডিং এবং চামচ দিয়ে দেয় এবং তারপর তারা এক সাথে বসে খাবার খায়।।
ছােট্ট বাটি থেকে পুডিং তুলে মুখে দিয়েই ছােট্ট ভাল্লুকটি বলে ওঠে ‘এটা সত্যিই খুব গরম।
গ্রীষ্ম হােক বা বর্ষা প্রতিদিনই মা ভাল্লুকটি পুডিং তৈরি করে তার পরিবারের সকলকে ডাকে এবং প্রাতরাশ সম্পন্ন করে। তিনটি বাটিতে পুডিং এবং চামচ দিয়ে দেয় এবং তারপর তারা এক সাথে বসে খাবার খায়।।
ছােট্ট বাটি থেকে পুডিং তুলে মুখে দিয়েই ছােট্ট ভাল্লুকটি বলে ওঠে ‘এটা সত্যিই খুব গরম।
বাবা ভাল্লুক এবং মা ভাল্লুক পুডিং মুখে দেয় এবং তাদেরও এই একই কথা মনে হয় তাই তারা বলে একটু অপেক্ষা করলেই পুডিংটি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
যতক্ষণে তাদের গরম খাবার ঠাণ্ডা হবে ততক্ষণে তারা তিনজনে মিলে একটু হেঁটে আসার সিদ্ধান্ত নিল। মা ভাল্লুকটি একটা ঝুড়ি নিয়ে বেরােয়, যদি জাম পায় তবে তা পুডিং-এর উপর দিয়ে খেতে পারবে।।
অন্যদিকে, একটা ছােট্ট মেয়ে সারা সকাল ধরে কাঠের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তার নাম গােল্ডিল্কস্।
সে অনেক ভাের থেকে হাঁটতে শুরু করে এই জন্য যে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সে সকালে কিছু না খেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল ফলে তার খুব খিদেও পেয়েছিল। ভাল্লুকদের ছােট্ট বাড়িটি দেখে গােল্ডিল্কসের মনে হয় সেটা বিশ্রাম নেওয়ার আদর্শ স্থান।
অন্যদিকে, একটা ছােট্ট মেয়ে সারা সকাল ধরে কাঠের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তার নাম গােল্ডিল্কস্।
সে অনেক ভাের থেকে হাঁটতে শুরু করে এই জন্য যে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সে সকালে কিছু না খেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল ফলে তার খুব খিদেও পেয়েছিল। ভাল্লুকদের ছােট্ট বাড়িটি দেখে গােল্ডিল্কসের মনে হয় সেটা বিশ্রাম নেওয়ার আদর্শ স্থান।
সে বাড়িটার দরজায় গিয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে কিন্তু কোন সাড়া পায় না। কারণ ভাল্লুক তিনটি তখনও বাড়ি ফেরেনি। সুতরাং গােল্ডিল্কস্ নিরুপায় হয়ে নিজেই ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
গােল্ডিল্কস পুডিং-এর তিনটি বাটি দেখতে পায়। তার জিভে জল আসতে থাকে এবং একই সাথে তার পেটও জানান দিতে থাকে। সে এই পুডিং খাবে বলে ঠিক করে।
প্রথমেই সে সবথেকে বড় বাটিটিতে চামচ ঢােকায়, সেটা ছিল বাবা ভালুকটির, সে কেঁদে উঠে বলে ‘উঃ এটা খুব গরম।
প্রথমেই সে সবথেকে বড় বাটিটিতে চামচ ঢােকায়, সেটা ছিল বাবা ভালুকটির, সে কেঁদে উঠে বলে ‘উঃ এটা খুব গরম।
তারপর মধ্যম আকৃতির বাটিতে চামচ ঢােকায় সেটা ছিল মা ভাল্লুকের এবং স্বাদ গ্রহণ করে বলে এটা খুবই ঠাণ্ডা।
সর্বশেষে সে বাচ্চা ভাল্লুকের বাটির পুডিং খায় এবং বলে এটা একদম ঠিকঠাক। সে পুরাে বাটিটি নিঃশেষ করে দেয়।
পুডিং খাওয়া পর সে খানিকটা বিশ্রামের প্রয়ােজন অনুভব করল। সে ভাল্লুকদের বসার ঘরে গেল এবং সেখানে গিয়ে তিনটি চেয়ার দেখতে পেল। প্রথমেই সে সবথেকে বড় চেয়ারটির উপর বসে। তার মনে হয় ‘এই চেয়ারটা খুবই শক্ত।
তারপর সে মধ্যম আকৃতির চেয়ারের উপর বসে। তার মনে হয় এটা খুবই নরম এবং উঠতে খুবই কষ্ট হবে।
শেষে সে ছােট্ট চেয়ারটিতে গিয়ে বসে এবং এটা তার জন্য একবারে ঠিক ছিল। সে হাসে এবং ভাবে এটা একদম ঠিক। কিন্তু ছােট্ট চেয়ারটি এতই পলকা ছিল যে সেটা ভেঙে যায়।
শেষে সে ছােট্ট চেয়ারটিতে গিয়ে বসে এবং এটা তার জন্য একবারে ঠিক ছিল। সে হাসে এবং ভাবে এটা একদম ঠিক। কিন্তু ছােট্ট চেয়ারটি এতই পলকা ছিল যে সেটা ভেঙে যায়।
কিন্তু ইতিমধ্যেই গােল্ডিল্কসের ঘুম পেয়ে যায় এবং সে উপড়ে উঠে যায় ও তিনটি বিছানা দেখতে পায়।
প্রথমেই সে সবথেকে বড় বিছানাটার উপর গিয়ে শােয়। তার মনে হয় যে এর মাথার দিকটা খুবই উঁচু!
তারপর সে মধ্যম আকৃতির বিছানাটির উপর গিয়ে শােয়ার চেষ্টা করে, তার মনে হয় এর পায়ের দিকটা খুবই উঁচু। শেষ পর্যন্ত সে ছােট্ট ভাল্লুকের বিছানাটার উপর গিয়ে শুয়ে পড়ে। সে নিজের মনেই বলে ওঠে এই বিছানাটা একদম ঠিক। সে খুব দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়ে।
একটুখানি বাদেই ভাল্লুক তিনটে তাদের ভ্রমণ শেষ করে ঘরে ফিরে আসে। তাদের মনে হয় যে সমস্ত জিনিসগুলি ঠিকঠাক নেই।
বাবা ভাল্লুকটি তার বড় বাটিটির দিকে তাকিয়ে গম্ভীর স্বরে বলে ‘কেউ আমার বাটি থেকে পুডিং খেয়েছে।
ছােট্ট ভাল্লুকটিও তার ছােট্ট বাটিটির দিকে তাকিয়ে খুবই আস্তে আস্তে বলে ওঠে ‘কেউ আমার পুডিং খেয়ে নিয়েছে এবং এক ফোটাও ফেলে রাখেনি।
তারপর ভাল্লুক তিনটি তাদের বসার ঘরে যায়। সেখানে গিয়ে বড় চেয়ারটিকে দেখে বাবা ভাল্লুকটি গম্ভীর স্বরে বলে কেউ আমার চেয়ারে বসেছিল।
মা ভাল্লুকটিও তার নিজের চেয়ারের দিকে তাকায় এবং সামান্য গম্ভীর স্বরে বলে আমার চেয়ারেও কেউ বসে ছিল।
ছােট্ট ভাল্লুকটি তার ক্ষুদ্র চেয়ারের দিকে তাকে কেঁদে ফেলে এবং কান্না জড়ানাে গলায় বলে আমার চেয়ারের উপরে কেউ বসেছিল এবং এটা ভেঙে গেছে।
তিনজনেই সিঁড়ি দিয়ে উপড়ে উঠে যায় তাদের শােয়ার ঘরের দিকে।
বাবা ভাল্লুকটি বড় খাটটি দেখেই গম্ভীর স্বরে বলে ওঠে “আমার বিছানাতে নিশ্চয় কেউ শুয়েছিল।
তারপরেই ভাল্লুক তার খাটের দিকে চেয়ে দেখে এবং সামান্য জোরে বলে আমার বিছানাতেও কেউ শুয়েছিল।
তারপরেই ভাল্লুক তার খাটের দিকে চেয়ে দেখে এবং সামান্য জোরে বলে আমার বিছানাতেও কেউ শুয়েছিল।
ছােট্ট ভালুকটি তার ক্ষুদ্র বিছানার দিকে তাকিয়ে পুনরায় কাঁদতে থাকে এবং বলে আমার বিছানাতে কেউ শুয়ে আছে।
ছােট্ট ভাল্লুকের গলার আওয়াজে গােল্ডিল্কসের ঘুম ভেঙে যায়। সে দেখে যে তিনটি ভাল্লুক তার দিকে তাকিয়ে আছে। তারা তাকে দেখে মােটেই সন্তুষ্ট হয়নি।
চোখের পলকে সে খাট থেকে নেমে জানলার দিকে ছুটে পালায়। সে জানালা দিয়ে লাফ মেরে যত দ্রুত সম্ভব ছুটে পালায়।
ভালুকগুলি আর কোন দিনই গােল্ডিল্কসকে দেখতে পাইনি।