Essay on My favorite leader in Bengali Language: In this article, we are providing লালবাহাদুর শাস্ত্রী বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা for students. My favorite leader in Bengali Essay for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10. প্রিয় নেতাদের নাম লিখতে বসলে সেই তালিকা কখনই শেষ হবে , কিন্তু তবুও আমার সবথেকে পছন্দের নেতা হলেন শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী। তিনি উত্তর প্রদেশের বিখ্যাত শহর মােঘল সরাইতে ১৯০৪ সালের ২রা অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারে লােক ছিলেন। তিনি দারিদ্রতার মধ্যেই জন্মেছিলেন এবং বড় হয়ে উঠেছিলেন। লাল বাহাদূর শাস্ত্রী তাঁর শিক্ষার জীবন শুরু করেছিলেন কালী বিদ্যাপীঠ স্কুল থেকে। এখান থেকেই তিনি ভারতীয় সমাজ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর ভাবে জানতে পেরেছিলেন। তিনি নিজেকে এখানে প্রকৃত ভারতীয়র ছাঁচে ঢালতে সক্ষম হয়েছিলেন।
Essay on My favorite leader in Bengali Language: In this article, we are providing লালবাহাদুর শাস্ত্রী বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা for students. My favorite leader in Bengali Essay.
Bengali Essay on "My favorite leader", "লালবাহাদুর শাস্ত্রী বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা" for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10
প্রিয় নেতাদের নাম লিখতে বসলে সেই তালিকা কখনই শেষ হবে , কিন্তু তবুও আমার সবথেকে পছন্দের নেতা হলেন শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী। তিনি উত্তর প্রদেশের বিখ্যাত শহর মােঘল সরাইতে ১৯০৪ সালের ২রা অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারে লােক ছিলেন। তিনি দারিদ্রতার মধ্যেই জন্মেছিলেন এবং বড় হয়ে উঠেছিলেন।
লাল বাহাদূর শাস্ত্রী তাঁর শিক্ষার জীবন শুরু করেছিলেন কালী বিদ্যাপীঠ স্কুল থেকে। এখান থেকেই তিনি ভারতীয় সমাজ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর ভাবে জানতে পেরেছিলেন। তিনি নিজেকে এখানে প্রকৃত ভারতীয়র ছাঁচে ঢালতে সক্ষম হয়েছিলেন।
Read also : Essay on Shivaji Maharaj in Bengali
Read also : Essay on Shivaji Maharaj in Bengali
তিনি তাঁর শিক্ষা সম্পন্ন করে দেশের নামে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, ব্রিটিশ আইনের দ্বারা উৎপীড়িত মানুষদের সেবা করাই ছিল তার একমাত্র উদ্দেশ্য। তিনি তাঁর দেশের লােকেদের দুর্দশা সহ্য করতে পারতেন না। তাদের সাহায্যের জন্যই তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে দান করেছিলেন। এই দুর্দশা সম্পূর্ণভাবে মােচন করার পরেই তিনি ভারতের রাজনীতিতে নিজেকে সংযুক্ত করেছিলেন। তিনি নেহেরু, গান্ধী, প্যাটেল এবং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতন নেতাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তিনি বৈদেশিক শক্তির হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং বীরের মতন বিপ্লব করেছেন। তারপর তিনি লােক দলে নাম লিখিয়েছিলেন। তিনি কংগ্রেসেও নিজের নাম লিখিয়ে ছিলেন এবং যে সমস্ত নেতারা দেশের জন্য বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করতেন তাদের সঙ্গে কাজ করে গেছেন।
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী নিজেকে অন্যরকম কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী ছিলেন এবং মন্ত্রালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদলাভ করেছিলেন। তিনি রেল, বাণিজ্য এবং শিল্প এবং গৃহমন্ত্রী ছিলেন, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী নিজের দায়িত্বকে দক্ষতার সাথে এবং সচেতনভাবে পালন করে গেছেন।
Read also : Essay on Republic Day in Bengali
Read also : Essay on Republic Day in Bengali
জহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর শ্রী শাস্ত্রী স্বাধীন ভারতের প্রধান মন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুতরাং তিনি এই ভূখণ্ডের উচ্চ শিখরে বসার সুযােগ পেয়েছিলেন। তিনি ১৯৬৪ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু পর্যন্ত (১৯৬৬ সালের ১১ই জানুয়ারী) এই পদেই অসীন ছিলেন। টাসকান্তে তার মৃত্যুর পরে ভারতে এক বিপর্যয় নেমে এসেছিল। তার মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রতিটি ভারতবাসীকে খাদ্য এবং সমস্ত রকম প্রয়ােজনীয় দ্রব্যের জন্য সংকটের মুখ পড়তে হয়েছিল, কারণ এই সময় পাকিস্থান ভারতকে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু তিনি এই সমস্ত সংকটের হাত থেকে ভারতকে রেহাই দিয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের সময় তিনি একজন বীরের মতন নেতৃত্ব দান করেছিলেন, এবং ভারতের নামে নিজেকে সমর্পন করেছিলেন।
Read also : Essay on Mahatma Gandhi in Bengali
Read also : Essay on Mahatma Gandhi in Bengali
গণতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ছিল। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির নায়ক ছিলেন। তিনি জনগণের নেতা ছিলেন। তিনি গান্ধী এবং প্যাটেলের পথ অনুসরণ করে চলতেন। তাঁর হৃদয় এবং মস্তিষ্কে সমস্ত রকম গুণবত্তা ছিল। তিনি একজন সৎ মানুষ, প্রকৃত শুভ চিন্তক এবং শক্তিমান বাগ্মী ছিলেন। তিনি যুদ্ধে জয়লাভ করলেও শান্তির জন্য মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতে এবং সাম্প্রদায়িকতাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তাঁর আত্মত্যাগকে ভারতীয়বাসীরা কোন দিন ভুলতে পারবে না এবং তাকে ভারতমাতার গৌরবান্বিত পুত্র বলা যায়।
COMMENTS