Essay on My famil in Bengali Language: In this article, we are providing আমার পরিবার বাংলা রচনা for students. Amar Parivar Essay in Bengali.
Essay on My family in Bengali Language for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10
আমি একটা মধ্যবিত্ত পরািবরের মানুষ, আমার বাবা-মা দুজনেই চাকরি করেন। আমার ঠাকুরদা-ঠাকুমা আমাদের সাথেই থাকেন। আমার ঠাকুরদাদা সৈন্যদলে ছিলেন এবং অবসর গ্রহণ করার পর বর্তমানে কিছু টাকা ভাতা পান। তিনি কঠোর নিয়ম পালন করেন, সকাল ৫.৩০ এর পর আমাদের বাড়ীতে কারুর শুয়ে থাকার অধিকার নেই। ছয়টার মধ্যে সমস্ত বাচ্চারা প্রাতঃভ্রমণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। তিনি তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মতনই আমাদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি আমাদেরকে কঠোর নিয়মে রাখেন এবং আমার বাবা-মা কখনই তার মুখের উপর কথা বলেন না। যদি কেউ আমাদের বাড়ীতে আসে, তবে তাকে শােভনীয় পােশাক পরে আসতে হবে এবং আমাদের বসার ঘরে কখনই পায়ের উপর পা তুলে বসতে পারবে না। এটা শিষ্টাচারের পরিপন্থী। আমার ঠাকুমা একজন সৎ এবং অনুগত মানুষ। তিনি আমাদের প্রাতরাশ তৈরি করেন ও আমাদের তৈরি হতে সাহায্য করেন। যদিও তাঁর বয়স ষাট বছরের উপরে, তবুও তিনি যথেষ্ট সক্রিয় এবং পরিশ্রমী। তার জন্য আমাদেরকে বাইরে কাজের লােক খুঁজতে হয়নি। তিনি সর্বদাই ঘরের দিকে নজর রাখেন এবং সেটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং চকচকে করে রাখেন।
আমার বাবা একটি বেসরকারী সংস্থায় হিসাব রক্ষকের কাজ করেন। শােয়ার সময়েও তার পকেটে ক্যালকুলেটর থাকে। সম্পূর্ণ পরিবারের জন্য তিনি একটা হিসাবের খাতা রেখেছেন। যতক্ষণ না ব্যালেন্স শীট প্রস্তুত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি শুতে যেতে পারেন না। যখন আমরা টিভিতে অনুষ্ঠান দেখতে ব্যস্ত থাকি, তখন উনি প্রত্যেকে দৈনিক খরচ ঠিকভাবে লিখে রেখেছে কিনা সেটি মিলিয়ে নেন। আমার ঠাকুমা কখনও দামী বল কিনে আনলে, পরের দিন শুধুমাত্র রুটি দিয়ে চালিয়ে সেটিকে সমতা করে দেওয়া হয়।
আমার মা কাজের ব্যাপারে খুবই নিপুন। তিনি কোন কিছুতেই নাক গলান না। তিনি একটা বেসরকারী সংস্থার রিসেপসনিস্ট। তিনি খুব ভাের বেলাতেই শয্যা ত্যাগ করেন। তার মুখে সর্বদা হাসি লেগেই থাকে। তিনি বাড়ী ফিরে এলে, বাড়ী সকলের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আমার বড় দাদা উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। সে খুবই মনযােগী ছাত্র এবং খেলা বা অন্যকোন কাজের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তার মাথায় সর্বদাই ভৌতবিজ্ঞান, রসায়ন এবং অঙ্ক ঘুরে বেড়ায়।
আমি এই পরিবারের সবচেয়ে ছােট সদস্য। আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র, কিন্তু সকলেই আমার সাথে ছােট বাচ্চার মতন ব্যবহার করে। কেউ আমাকে আমার ঠিক নামে ডাকে না। তাঁদের কাছে আমি ছােট্ট নামে পরিচিত। আমার বন্ধুদের সামনে বাবা-মা আমাকে ছােটু বলে ডাকলে আমি খুবই ক্রোধিত হই। কারণ এরপর বন্ধুরাও আমাকে ডাক নাম ধরে ডাকতে শুরু করে। এই সমস্যার কোন সমাধান নেই কারণ আমি আমার পরিবারের কাউকেই বদলাতে পারব না।।
আমাদের পরিবার খুবই সুখী পরিবার এবং আমি এর জন্য আরাে অনেক অনেক সমৃদ্ধি কামনা করি।
Tapu
ReplyDelete